Monday, December 24, 2012



রামকেলী 

Ramkeli





বেহাগ 

Behag


 

Wednesday, October 31, 2012

অনেকদিন পরে টিভি তে একটা বাংলা সিনেমা দেখলাম, ছবির নাম "দেয়া নেয়া"। সিনেমা তা এর আগেও বহুবার দেখেছি। কোনোবার ই পুরনো হয়নি। এ বারেও তার অন্যথা হলো না। ৬০ এর দশকের সিনেমা। কিন্তু কত জ্লজ্যান্ত মনে হলো। তখনকার সাদা-কালো ছবি তেও গল্প আর তার চরিত্র, এই দুটোই কি রেফ্রেশিং! এই সহজ সরল প্রেমের কাহিনীর মধ্যে একটা মন ভালো করে দেওয়া সতেজতা রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত যেটা এখনকার সিনেমার মধ্যে বিরল।

Friday, October 26, 2012

সব সময়ের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

Sunil Gangopadhyay

 
 
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের  মৃত্যুতে  আমি সত্যি শোকাহত। নবমীর দিন সকালে T.V. টা খুলতেই মনটা নাড়া খেয়ে গেল।চলে গেলেন! আমরা সত্যি হারালাম তাঁকে?বাংলা সাহিত্যের একটা স্তম্ভ  নড়ে গেল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমার  সর্বপ্রিয লেখক কোনদিন ছিলেন  না।কিন্তু অন্যতম প্রিয় একজন লেখক  নিশ্চই ছিলেন।মনে হলো কি যেন হারালাম। কোথায় যেন একটা ফাঁক তৈরী হয়ে গেল।তিনি সবার বড় কাছের লোক ছিলেন।না-পাঠকদের দলে  যাঁরা পরেন, তাঁরাও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে চেনেন।তাঁরাও ব্যথিত।আশ্চর্য!একজন মানুষ যাঁকে আমরা কখনো চোখে দেখিনি পর্যন্ত , কি করে পারেন মনের এতটা কাছাকাছি আসতে?যে তাঁর মৃত্যুর খবরে মহানবমীর আনন্দজ্বল দিন ও মলিন হয়ে যায়! দুর্গা  পুজোর সকাল ও হয়ে যায়  বেদনাবিদুর?
 
আমি কবিতা পড়ি ।কিন্তু কবিতার বোদ্ধা পাঠক আমি নই।শুধু  পড়ার জন্যই  মাঝে মাঝে কবিতার বই এর পাতা উল্টাই।সে ভাবেই মাঝে মধ্যে কখনো সখনো পরেছি তাঁর কবিতা। কিন্তু ব্যস। ওই অবধিই।তাই কবি সুনীল গাঙ্গুলীর সাথে আমার খুব বেশি আলাপ নেই।
 
আমি ভক্ত তাঁর উপন্যাসের।অমন ঐতিহাসিক লেখা আর বোধ হয় সৃষ্টি হবে না।এক "সেই সময় "- কেই ধরা যাক।
কি বিস্ময়কর  research! চোখ বুঁজে নির্ভর করা যায় এমন সব তথ্য। ইতিহাস কখনো মেলে নি কল্পনার সঙ্গে।ইতিহাসের মধ্যে কল্পনা মেশালে তার যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যায়,তা বোধ হয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে বেশি কেউ মানেন নি।অথচ প্রতিটা ঐতিহাসিক উপন্যাস কি ভীষণভাবে জীবন্ত।ঐতিহাসিক চরিত্রের পাশাপাশি এক্গুছ  কাল্পনিক চরিত্র ভীড় করে আছে "সেই সময়", "প্রথম আলো" তে।তারা হয়ত কাল্পনিক, কিন্তু তারা নিজেরা স্বমহিমায় ভাস্বর।এমন parallel lining -কেউ কাউকে ছোট করে নি , বরং প্রত্যেকটি  ছোট ছোট চরিত্র গল্পকে দিয়েছে এক মজবুর ভীত।" সেই সময়" , "পূর্ব পশ্চিম", " প্রথম আলো"--- ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এক মূল্যবান ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে।
 
আজকের এই দিনে একথা বলা শোভা পায় কিনা জানি না, কিন্তু আজ স্বীকার করি ,সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মাঝের কিছু লেখা আমাকে কেন জানি না হতাশ করত।কিন্তু যখন শুনলাম উনি মহাভারত লেখা শুরু করেছিলেন , আফসোসটা  আবার বেড়ে গেল।বহুদিন পর আবার একটা ঐতিহাসিক লেখা  পেতে চলেছিলাম আমরা।বঞ্চিত হলাম।যদি ওই অসমাপ্ত  লেখাটুকুও কোনো publisher ছাপেন তাহলেও অন্তত আমরা সেই গভীরতার স্বাদাস্বাদন করার সুযোগটুকু পাই।
 
সব শেষে আবার আর একবার স্মরণ করি তাঁকে , যাঁর জন্য বাংলা সাহিত্য পেয়েছিল অনন্য এক লেখনিধারা।মানুষ ভুলবে না তাঁকে।এমন এক স্রষ্টাকে ভোলা যায় না।