ভেলা ভাসানো শাপলা ফুলের জলে
জল ছুঁই ছুঁই খেলায়
মাতত যখন ছলক ছলক
কুমারী এক মেয়ে
তোমায় পেত মনে
বেগনে পাতায় হলুদ ফোঁটায়
কচুরিপানার ফুলে।
এক ছুটটে মাঠ পেরোনো
আল ডেঙানো ক্ষেত
খালের পারে জমতে থাকা
লালচে আভার মেঘ.
দুচোখ ভরে দেখত তখন
সেই ছোট্ট মেয়ে
আলতো ছোঁয়ায় ছুঁয়েছিলে
ভোরের উষা হয়ে।
গনগনে তাপ যখন এলো
ভরা দুপুরে
পুড়িয়ে দিল , জ্বলিয়ে দিল
শূন্যতাতে ভরিয়ে দিল
ক্লান্ত হয়ে ভাবলো সে মন
কোথাও তুমি নেই।
নিস্তব্ধ কাঁঠালতলায়
একলা সে যে খুঁজলো তোমায়
শুনশান সে সো সো হাওয়া
বলল তুমি নেই।
গা পোড়ানো রোদ
আর
ঝলসানো সব চোট
ভীত চোখে খুঁজলো মেয়ে
সহায় দেবার লোক।
শুকনো গলায় চাইল মেয়ে
কয়েক ফোঁটা জল
ঝটকা হাওয়া হাসলো হাসি
"কোথায় পাবি বল " ?
অভিমানে ফুলল ঠোঁট
তোমার থেকে মুখ ফেরালো
ভালবাসার মন।
বলল, "তোমায় দিলাম আড়ি
আসব না কক্ষন "।
হতাৎ করে ভিজলো ঠোঁট।
ভেজা চোখে দেখল মেয়ে
কোত্থেকে এক জলের ফোঁটা
ঠোঁটের দ্বারে রাখা
বুক ভেজানোর তরে
যেন যত্ন করে আঁকা।
বুঝলো তখন অবুঝ মন
এসছ তুমি রুপময়
চোখের ধারা হয়ে
থমকে থাকা অশ্রুভার
বইলো রয়ে রয়ে।
ঠান্ডা নরম হাওয়া ছুঁলো
ভেজা গালের টোল
হাস্নুহানার গন্ধ এলো -
দুর্ পারেতে উঠলো বেজে
সাঁঝের মেঠো বোল।
এলে তুমি নতুন রূপে
পুরনো সেই দ্বারে -
ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসি
চিনলো আবার যারে।
No comments:
Post a Comment