Sunday, March 22, 2015



বেহুলা ----------
ও তুই বেহুলা রে , পথ দিখা ক্যানে
আমায় পার কইরা দে
আমি হাঁচড় - পাঁচড়  কইরা ক্যামনে
ওপার যামু রে
আমায় পার কইরা দে।
ও বেহুলা  ................

ও বেহুলা  .................
আমায় সমুন্দর ডাইকে  রে
আমি গাং পার হইব রে
(ও ) তুই আগে চল রে ,
আমি পিছা পিছা যাইমু রে
ও বেহুলা  ................

তুই তো লখিন্দরকে লইয়া
উজানে নাও বাইয়া
তোর ঘরে ফিরিস রে -
সমুন্দর পারে , আমার পিরিতি বাস করে
আমি যাইমু ক্যামনে
আমায় পথ দিখা ক্যানে।
ও বেহুলা -



Thursday, March 19, 2015

 

ঘুমিয়ে রয়েছে  ভিসুভিয়াস




ঘুমিয়ে রয়েছে  ভিসুভিয়াস
ওকে ঘুমিয়ে থাকতে দাও
বুকের মধ্যে জলন্ত লাভা
ধিক ধিক করে জ্বালিয়ে নিয়ে
শুয়ে রয়েছে সে
জাগিও না
ওকে শুয়েই থাকতে দাও।
পাঁজরে পাঁজরে বন্দী ওর
গলগলে উত্তাপ
আর
ফুঁসে ওঠা আগুন
সে প্রাচীরে ছিদ্র কোরো না
ঘুরিও না চাবি
তাদের বন্দী থাকতে দাও
জ্বালা
জ্বলে পুড়ে খাক হওয়া
জ্বালা ওর বুকে
দাবানল লেগে যাবে
অগ্নিস্ফূরণে পুড়ে যাবে
সাজিযে রাখা পৃথিবী
গলন্ত লাভার চলন্ত স্রোতে
ডুবে যাবে প্রাণ
পৃথিবীর বিকৃত , অচেনা লাশের ছবি
দেখতে চাও কি ?
দেখো না। 
ওকে সেজেই থাকতে দাও
ঘুমিয়ে রয়েছে ভিসুভিয়াস
ওকে ঘুমিয়ে থাকতে দাও।
 

পাগলা তখন কিশোরবেলা


একলা তখন মন ছিল তাই আকাশ আলোয় ভাসছিল
স্বপ্ন দেখার আরাম মেখে সন্ধ্যাগুলো হাসছিল।
মন্দ্র বাতাস ছন্দ তুলে পাতায় পাতায় নাচছিল
মেঘের পরত জানে না কোথায় আনমনা পথে হাঁটছিল।

পাগলা তখন কিশোরবেলা , লাগত ভালো লোডশেডিং
মিশকালোতে ডুবত শহর , মনে খুশির - ফাঁক- চিচিং

নিওন আলো খেই হারালে তিলোত্তমা থমকে যায় -
নীল আভা তাই সুযোগ বুঝে ছাদটার গা ধুইয়ে দেয়
পুরনো বাড়ির ঘুটঘুটে সিঁড়ি , বালতি রাখা রেলিং পায়
ঠং ঠং ঠং , হঠাৎ গড়ায় , প্রতিধ্বনি দেওয়াল গায়। 

প্যাচপেচে ওই গরম মেখে দরদরিয়ে চান
চুপ করে শোঁকা ঘর জোড়া কোনো চেনা শরীরের ঘ্রাণ।

মোমের আলোয় নিস্পলকে মায়ার খেলা দেখা
আগুন কেটে আঙ্গুল চলে দাপটে বাজি রাখা
কালো ক্যানভাসে শহরের সেই ছটাক্  ছবি আঁকা -
পাগলা তখন কিশোরবেলা , আঁধারেও ভালো থাকা। 
 

প্রণমি নাথ 

 
 
                দিতেছ দুখ , দিতেছ শোক , দিতেছ ক্লান্তি , কী অনন্ত ক্ষোভ
                     তারই মাঝেও তুমি হে নাথ , সদা বিরাজিছ শত আনন্দে
                     কেমনতর এ  প্রকাশ তব রূপে - রসে - প্রেমে - ছন্দে - সুগন্ধে ?
                দিয়েছ যে রোগ , দিয়েছ যে ভোগ , দিয়েছ বিষাদ , কত  না বিক্ষোভ
   ( তবু ) আনত করে , বিনত করে , হরেছ আমার ক্রোধ - মোহ  - লোভ।

                 চরমতম শূণ্য করেই  হেসেছ জয়ের  সে উদ্ধতহাস
                 তবুও কেন মনের মাঝারে এখনো জেগে অফুরান আশ্বাস ?
 
                 অবুঝ অভিমান  ,বোঝেও না মন  , রিক্ততাও যে তোমারি দান।
                 দিয়েছ যে ধন , দিয়েছ যে মান , দিয়েছ শ্রান্তি , কত সম্মান  -
  (তবু )  এ চিত্ত আমার বিশুদ্ধ করে ভরেছ আমার অন্তরবোধ। 
 আনত করে, বিনত করে, হরেছ আমার ক্রোধ - মোহ - লোভ। 

Tuesday, March 10, 2015

 

সময়ের দর্পণে মুখ রাখি 


সময়ের দর্পণে মুখ রাখি


সময়ের দর্পণে মুখ রাখি
কালো কালো অস্পষ্ট ছায়ারা
এগোয় - পিছোয়
প্রতিচ্ছায়া
ভেসে ভেসে ওঠে পারদের ওপারে।
আনমনা শিশু
ভুলোমনা মন
এলোমেলো চলা
বড় কিছু হাত
আদর-ছায়া -শাসন - ত্রাষণ।
উন্মনা চোখ
পড়ন্ত বিকেল
ছাদের কিনারে
পাঁচিলের গা-এ
ঠায় দাঁড়ানো কিশোরী পা-এ
ঘোরানো নুপূর।
রাতের আকাশ
ভেসে চলা মেঘ
ছাদেতে মাদুর
এলানো শরীর
প্রসস্ত নিশ্বাস
আর
এক বুক বিশ্বাস।

সময়ের দর্পণে মুখ রাখি
পরিণত কোনো মুখ
স্থির , অবিচল
নির্ভুল চলা
ঘাতসহ মন
দৃপ্ত ভঙ্গী
প্রত্যয়ী চোখ।
শক্ত চোয়াল
কাঁধেতে ভার
উন্নত গ্রীবা।
কল্পনা খোয়া যাওয়া
শুধুই যুক্তি -বোধ।
সময়ের নাগপাশে
বন্দী প্রতিক্ষণ
যোগ-বিয়োগের অঙ্ক কষে
ঠেকতে শেখা হিসেবী মন।

ভাবি ,
শেষ কোন বার ছাদে উঠেছি ?
আকাশ দেখেছি কবে ?
বেখেয়ালে বেহায়া মন
উদাস হয়েছে কবে ?
ভাবি ,
পথ হারিয়েছি কী ?
সময়ের দর্পণে মুখ ঢাকি।