Sunday, May 31, 2015



বৃষ্টি হয়ে নয়
আজ রাত কাটে অপমানে
বিবস্ত্র করে ভালবাসাকে  টেনে আনা হয়
হাটে বাজারে।
চেয়ে চেয়ে দেখি
কতদূর লাঞ্ছিত হতে পারে
কিশোরীর নিস্পাপ ভালোবাসা।
বিষোদ্গারে জনসমক্ষে লুন্ঠিত হয় সে।
জয়োদ্ধত পুরুষ !
নারীকে রণাঙ্গনে আহ্বিলে ?

Saturday, May 30, 2015



ঘন কালো মেঘে ডম্বরু বাজে -
জলছায়া আঁকা একলা পায় -
ভেজে মন , অচেতন
ফেরে না হারানো ধন
অঝোর ঝরা এ শ্রাবণ
আমার একলা শ্রাবণ।

ওড়না উড়িয়ে মেঘেরা আসে
ভরতে অবকাশ
তোমার চারপাশ
নিঃশব্দ সে কথন
শোনো কি তুমি ? মন ?
ছন্দপতন , হঠাৎ শ্রাবণ -
তোমার একলা শ্রাবণ।

মারবা থেকে মেঘ ?
নাকি মেঘ থেকে মল্লার ?
জানে না , এ সিক্ত পবন

সে তো ভেজা ভেজা লয়ে
গান বেঁধে যায় -
এই শোনা যায় , ওই সে হারায় -
মুষলধারে, এক নাগাড়ে -
তোমার -আমার দোঁহার শ্রাবণ। 
আমাদের একলা শ্রাবণ। 

Friday, May 29, 2015



আমায় তুমি নিষেধ করো না -
আমার পাশে অনেক মুখের ভীড় -
চেনা মুখগুলোর চিত্র-বিচিত্র বক্ররেখায়
আমি সৃষ্টি দেখতে পাই।

এই ক্যানভাসে রং বদলায় প্রতিক্ষণে
আপনমনে।
লালের সাথে মিশতে থাকে হলুদ
প্রেমের সাথে মিশতে থাকে রাগ
নীলের সাথে মিশতে থাকে কালো
স্বপ্নের সাথে মিশতে থাকে জাত।
আমি দেখতে থাকি মুগ্ধ চোখে -
রেখারা সব নিজের মত চলে ,
কৌশলে।
হাসতে থাকে ক্রোধ
কাঁদতে থাকে লোভ
মুহুর্তে বদলিয়ে যায় ক্ষণভঙ্গুর মন ,
অনুক্ষণ।
খুশির উর্দ্ধরেখা পলকে নেমে আসে
নিম্নখাদে ,
বিষাদে।
আচমকা তড়িৎ খেলে ধুসর , হতাশ চোখে
জীবন হাসে
মৃত মানবলোকে।

আপাত নিরীহ ভুরুর রেখা
নিঃশব্দে গোপন কথা বলে ,
পলে পলে।
সরলরেখায় জগতে থাকতে বোধ
জাগার আগেই দমিয়ে দিয়ে
বাঁকতে থাকে ধনুকরেখা
ফুঁসে ফুঁসে ওঠে দ্বেষ
কুঞ্চিত রেখা কারণ খুঁজে মরে ,
একলা ঘরে।
বড় তাড়াতাড়ি বদলাতে থাকে মন
বেহালার ছড় মীর টেনে যায়
ঋষভ -পঞ্চমে
রেখারা অঝোর ঝরে ঝরে ,
একলা ঘরে।
সেই রেখারাই ম্যান্ডোলীনে
শরীর নাচিয়ে তোলে
রেখারা দোলে
রেখারা দোলে।
কামুক চোখ মাপতে থাকে শরীর
ভাবুক মন ভাবতে থাকে চিত্তশুদ্ধি পথ
ক্যানভাস জোড়া গল্পের খেলা
শ্রুত -অশ্রুত ; বলা না বলা।

তুমি যেন আমায় নিষেধ করো না
বদলাতে থাকা চিত্রলেখায় আমি সৃষ্টি দেখতে পাই
দোহাই তোমায় ,
আমায় তুমি নিষেধ করো না। 

Thursday, May 28, 2015


তোমার শরীরে ধুলো কেন হবে ?
ধুলো এখন আমার শরীরময়
তোমার দেওয়া ভূষণ এখন 'ধুসর'
সেই রঙেতেই দৃষ্টি বিষাদময়।

ধুলোর চাদর ওড়াও তুমি রোজ
নিঃশব্দে তাই মেখে নিই গায়
ধুলোয় কাদায় বিবর্ণ আজ আমি
শব্দ নেই , নীরব , নিরুপায়।

তোমার হয়তো অনেক কথা আছে
এদিক ওদিক ঝাপটা মারে তারা
আমার শুধুই মৌন অনুভব
কবিতারা আজ স্তব্ধ , বাক্যহারা।

আজ তো আমি শতেক দোষে দোষী
ভালো , না হয় , সেটাই মনে রেখো।
ক্ষুদ্র আমি , হেরেই না হয় গেলাম ;
তোমার মত তুমি ভালো থেকো। 

Monday, May 25, 2015

 
 
দেবতার গ্রাস 
    
                                রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
 
 
 

Sunday, May 17, 2015


গভীর থেকে আরও গভীরে
তলিয়ে যায় অনুভব।
অসীম , অতলে বহমান নিশ্চুপ স্রোত
স্তব্ধতার অপরূপ অন্ধকার -
আধাঁর সেখানে আলোকময়
নিশ্ছিদ্র , নীরব।

গভীরতার বাণী সবখানে ভাষাহীন
শুনতে যে পারে
সে নীরবে শোনে
হৃদ্সাগরে ডুব দেওয়া মন
অনন্ত , অসীম।

ভাষা কোথাও পথ ভুলে যায়
ঘুরতে ঘুরতে এক হয়ে আসা
ক্ষুদ্র কোনো বিন্দুতে
ক্ষুদ্রতম বৃহৎ
চারপাশে তার বিচ্ছুরিত কালো   
সেই কালোর আলোয় সৃষ্ট জগৎ
ব্যপ্তির পরে ব্যপ্তি
পরতের পর পরত।

সেই কথাহীন নাভিকুন্ডলীতে
জমা থাকে ভাব
পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উঠতে থাকে
পেট থেকে বুকে , বুক থেকে গলায়
হাত পা মেলে - শিরায় শিরায়।

তারপরেই কন্ঠনালীতে দলাপাকানো চাপ
গোলাতে থাকে
গোলাতে থাকে
বেরোতে পারে না
বন্ধ মুখের ভেজানো দ্বার
প্রকাশ পায় না
যন্ত্রণা হয়।